শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই সংগঠিত সহিংসতা ও হত্যাকান্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামের একটি কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানকে দিয়ে ১৮ জুলাই এক সদস্য বিশিষ্ট এই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে দেয়া হয়। এ তদন্ত কমিশনের সহায়তায় রয়েছেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সমন্বয়ে ও সংস্কার শাখা।

প্রথম বৈঠক শেষে আজ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামান।
তিনি বলেন, দ্যা কমিশনস অব ইনকোয়ারি এ্যাক্ট ১৯৫৬ এর ৩ ধারার ক্ষমতাবলে সরকার এ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে দেয়। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার ২০১৮ সালে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর প্রেক্ষিতে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। গত ৫ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কোটা পদ্ধতি বিলুপ্তির প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে রায় দেয়। হাইকোর্টের এ রায়ের পর কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রছাত্রীগণ আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই সারাদেশে এক অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং ৬ জন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করে দেয়া হয়।

বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামান বলেন, গত ১৬ জুলাই ৬ জন ব্যাক্তির মৃত্যুর কারণ উদঘাটন, তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের চিন্থিতকরণ ও ৫ থেকে ১৬ জুলাই সংগঠিত অগ্নিসংযোগ লুটপাট সন্ত্রাসী কর্মকা-ের তথ্যাদী ও প্রমাণাদী আগামী ৬ আগস্টের মধ্যে সরাসরি ই-মেইল ডাকযোগে প্রদান করা যাবে। ইতোমধ্যেই কমিশন তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তারই আলোকে আমরা আজ কমিশনের প্রথম মিটিং করেছি। গণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নাগরিকদের কাছ থেকে তথ্যাদি আমরা আহ্বান করবো। নাগরিকগণ কি পদ্ধতিতে তথ্য প্রমাণাদি দিবেন- সেটা গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকবে। কমিশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামান বলেন, কমিশন সততা নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করেছেন। চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে কমিশন। বেঁধে দেয়া সময় অর্থাৎ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশন প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

আজ বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় সংস্কার শাখার সচিব মাহমুদুল হোসেন খান, অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন, উপসচিব তানভীর আহমেদ এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মশিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ