মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংকের চেয়ে বেশি পূর্বাভাস দিলো এডিবি

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ছয় দশমিক এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি। এটা বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া পূর্বভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বেশী।

দশদিন আগে বিশ্ব ব্যাংক এবারের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছিল।

দুই সংস্থার পূর্বাভাসের ব্যবধান শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট। অন্যদিকে সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার ম্যানিলাভিত্তক সংস্থাটি ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক, এপ্রিল ২০২৪’ প্রকাশ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে ছয় দশমিক ছয় শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

যেখানে বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস হচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি সামান্য বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে।

এডিবির পূর্বাভাস অনুযায়ী, উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্য দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশে চলতি বছর শেষে তা আট দশমিক চার শতাংশ হবে। আগামী ২০২৫ সাল শেষে মূল্যস্ফীতির পারদ নামবে সাত শতাংশে।

এশিয়ার দেশগুলোর বেশিরভাগের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সংস্থাটি।

এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, ‘আমরা চলতি বছর ও আগামী বছর উন্নয়নশীল এশিয়ার বেশিরভাগ অর্থনীতির শক্তিশালী ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।’

অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, ‘ভোক্তাদের আস্থা উন্নত হচ্ছে এবং বিনিয়োগ সামগ্রিকভাবে স্থিতিস্থাপক। বাহ্যিক চাহিদাও কমে আসছে বলে মনে হচ্ছে, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে।’

নীতিনির্ধারকদের আরও সতর্ক থাকতে হবে, কারণ বেশ কয়েকটি ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্ন, মার্কিন আর্থিক নীতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা, চরম আবহাওয়ার প্রভাব এবং চীনে সম্পদ বাজারের আরও দুর্বলতা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ