শনিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনায় গণ সংর্বধনায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা, সংবাদ সম্মেলনে জড়িতদের শাস্তি দাবী

বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা ও সদস্য সচিব হুমায়ুন হাসান শাহীনকে গণ সংবর্ধনায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া উপজেলা যুবদল নেতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমতলী উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হেমেদী জামান রাকিব ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া তার আইনজীবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া বলেন, নবগঠিত বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লা, সদস্য সচিব হুমায়ুন হাসান শাহীন ও প্রথম যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল হক মাষ্টারকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় গণ সংবর্ধনা দেয়া হয়। ওই সংবর্ধনায় আমি আমার কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে বটতলা অবস্থান করি। ওই সময় উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মেহেদী জামান রাকিব, ছাত্রদল নেতা সোহাগসহ তার কিছু সমর্থক আমার উপর হামলা চালায় এবং লাঞ্ছিত করেছে। তারা জেলা বিএনপির আহবায়কসহ কমিটির নেতৃবৃন্দকে দেয়া ফুলের তোড়া ছিড়ে ফেলেছেন। জীবন রক্ষায় আমি একটি ঘরে আশ্রয় নেই। তারা ওই ঘরেও ভাংচুর করেছে। জেলা নেতাদের গণ সংবর্ধনা যাতে পন্ড না হয় সেই জন্য আমি গন্ডগোল এড়িয়ে গিয়েছি। আমাকে লাঞ্ছিত করা মানে জেলার বিএনপি নেতাদের লাঞ্ছিত করা। তিনি আরো বলেন, ১৯৯০ সালে আমতলী উপজেলা যুবদল সভাপতি ছিলাম। ওই সময় দলকে সুন্দরভাবে সাজিয়েছি। এরপর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব থেকে শুরু করে জেলা বিএনপির গুরুত্বপুর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছি। গত ৩৫ বছর বিএনপির রাজনৈতিক জীবনে বহু নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি কিন্তু দল ত্যাগ করেছি। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার ১৬ বছরে অনেক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর রেশানলে পড়ে চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদে তিনবার চেয়ারম্যান পদে বিজয় হয়েও ধরে রাখতে পারিনি। সাংসদ শম্ভু প্রভাবখাটিয়ে তার দলীয় প্রার্থী আখতারুজ্জামান বাদল খানকে চেয়ারম্যান ঘোষনা দিয়েছেন। ১/১১ সরকারের সময় মাইনাস টু ফরমুলার বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকায় ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম, ফলে তিন মাস সেনাবাহিনীর ভয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। ১/১১ এবং আওয়ামীলীগ আমলেও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি, এখন নিজের দলের নেতাকর্মী দিয়েই লাঞ্ছিত হচ্ছি। আমাকে লাঞ্ছিতের সঙ্গে জড়িত যুবদল নেতা মেহেদী জামান রাকিবসহ তার সমর্থকদের শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী জামান রাকিব ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া আওয়ামীলীগ দোসর ছিল।

বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বরগুনা যুবদলের নেতৃত্বে থাকাকালিন সময়ে অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়াকে আমি আমতলী উপজেলা যুবদল সভাপতি করেছি। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলাম। তাকে আমি ভালো ভাবেই চিনি এবং জানি। তার ওপর এমন আচরণ ঠিক হয়নি। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ