১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে পথচারীদের ফোন চেক করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নেটিজেনরা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন এ বিষয়ে। তাদের দাবি, স্বৈরাচার সরকারের মতো কারো ব্যক্তিগত তথ্য বা বস্তুতে কারো হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।
এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়ক তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। সবারই ভাষ্য, এটি নিন্দনীয় কাজ।
তবে এবার এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অপরাধীদের আইনের প্রক্রিয়া অনুসারে বিচারের আনার আহ্বান জানান।
তিনি তার ফেসবুক লিখেছেন, ‘কারো ফোন চেক করা, নিরস্ত্র-নিরপরাধ ব্যক্তির ওপর চড়াও হওয়া নিন্দনীয়। একই ভাবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মিডিয়ায় বাজেভাবে উপস্থাপন মানবাধিকার লঙ্ঘন। অপরাধীদের আইনের প্রক্রিয়া অনুসারে বিচার করতে হবে।’
নাহিদ আরো বলেন, ‘আমাদের অভ্যুত্থান ন্যায় ও নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ছিল। আমাদের যেমন প্রতিরোধ জারি রাখতে হবে অন্যদিকে নিজেদের অভ্যুত্থানের স্পিরিট বজায় রাখতে হবে।’
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এ বিষয়ে স্ট্যাটাস দেন। তিনি লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগ ফোন চেক করলেও প্রাইভেসি লঙ্ঘন, আপনারা আজকে যেটা করলেন সেটাও প্রাইভেসি লঙ্ঘন। প্রাইভেসি লঙ্ঘন যেই করবে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে।