বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর হবে একটি “গেম-চেঞ্জার” যা বাংলাদেশ-চীন সম্পকের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
রোববার সন্ধ্যায় চীনা দূতাবাসে এক সেমিনারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি (প্রধানমন্ত্রীর সফর) হবে আরেকটি ঐতিহাসিক সফর। এটি হবে একটি একটি গেম-চেঞ্জার । এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী বেইজিং সফরের তারিখ সম্পর্কে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ” অপেক্ষা করুন।’’
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বর্তমানে বেইজিং সফর করছেন।
বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)-এর সহযোগিতায় চীনা দূতাবাস “চীন-বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট: এ মিউচুয়ালি বেনিফিশিয়াল এন্ড উইন উইন চয়েজ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ করতে বেইজিং বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে চীন-বাংলাদেশ এফটিএ-র শুরুর দিকে স্বাক্ষর নিঃসন্দেহে পারস্পরিক সুবিধা এবং সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে, যা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার একটি নতুন সোনালী যুগের সূচনা করবে।”
ইয়াও বলেন, চীন এই বছরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত আছে, যাতে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল হিসেবে শুরু করে ২০২৬সালের আগে আলোচনা শেষ করা যায়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আরএপিআইডি চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, বিসিসিআই মহাসচিব আল মামুন মৃধা এবং সিইএবি সভাপতি কে চাংলিয়াং প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।