মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক এমপি অধ্যাপক হুমায়ূন কবির হিরু শাসকের অন্যায় ও অন্যায্য রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের প্রচেষ্টায় আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরা।
তারা বলেছেন, ক্ষমতার শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও লোভ-লালসার উর্ধ্বে ছিলেন তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশ ও গণমানুষের প্রতি দেওয়া অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হননি। মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্বগাঁথা জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শনিবার (২৯ জুন) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নির্মোহ রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক হুমায়ূন কবির হিরুর নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বরিশাল বিভাগ সমিতি।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি মো. নিজামুল হক এর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় পার্টির (একাংশ) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, বরগুনা-২ আসনের সাংসদ সুলতানা নাদিরা, বরগুনা-১ আসনের সাংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু, বরিশাল সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু, সাধারণ সম্পাদক এম, এ সোবাহান, সিনিয়র সচিব (অব.) মুশফেকা ইকফাৎ, ভিসি ড. আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হক জিলানী।