নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যে কোনো কার্যক্রমে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বাইরে রয়েছে, তারা যদি কোনো সভা সমাবেশ করে তাহলে সেটা ইসির এখতিয়ারের মধ্যে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যে কোনো কার্যক্রম অবশ্যই নির্বাচন পরিপন্থি হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে যে প্রচলিত বিধি-বিধান ও আইন আছে, তা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে।’
শনিবার রাজধানীর আগাওগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিবালয়ের সচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
বিএনপি মানবন্ধন কর্মসূচি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম দেখভাল করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়টি তারা দেখবেন।
হেফাজতে ইসলামের রাজধানীতে সমাবেশ সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কমিশন যদি মনে করে কোনো সাজেশন দেয়ার প্রয়োজন আছে, তাহলে কমিশন সেটা করবে।’
সচিব বলেন, রিটার্নিং কর্মকরর্তাদের দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন পড়েছে ৫৬১টি। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব আবেদনের উপর শুনানি করে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবেন। শেষদিনে আবেদন জমা পড়েছে ১৩০টি পড়েছে। তবে কোন দলের কতটি আবেদন পড়েছে তা পরে জানা যাবে।
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে নির্বাচনি আচরণ বিধি ভঙ্গের জন্য নির্বাচন কমিশন তলব করেছে, এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘ঝালকাঠি-২ আসনের একজন প্রার্থী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন মর্মে রিটার্নিং অফিসার রিপোর্ট করেছেন, এর ভিত্তিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় কমিশন তাকে স্বশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য বলেছেন।’