তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দল নিরপেক্ষভাবে গুণীদের মূল্যায়ন করে।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পদক বা একুশে পদক বা অন্য কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার ক্ষেত্রে যারা সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্র, সমাজ, দেশের জন্য অবদান রাখছেন, তাদেরকেই বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে ফলে সমাজে গুণীজনেরা উৎসাহিত হচ্ছেন।
শনিবার ( ১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘খুলনা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’ আয়োজিত একুশে পদকপ্রাপ্ত খুলনা বিভাগের চার গুনীজনের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
সম্বর্ধিতদের অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা আজ সম্বর্ধিত হলেন, তাদেরকে অভিনন্দন। গুণীদের সম্মান না দিলে সেই দেশে গুণীর জন্ম হয় না। আমাদের মুল লক্ষ্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা। শুধু উন্নয়ন নয়, টেকসই উন্নয়ন করতে হলে গুণীদের কদর করতে হবে।’
অনুষ্ঠান ও সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, খুলনার কৃতি সন্তানদের যোগ্য সম্মান দিতে পেরে নিজেরাই গর্ববোধ করছি। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিজভী নেওয়াজ গুণীজনদের সম্মান দিতে খুলনা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম আগামীতে আরো উদ্যোগ নেবে বলে জানান।
এ বছর একুশে পদকে ভূষিত খুলনা বিভাগের স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বাঁশিবাদক গাজী আব্দুল হাকিমের হাতে এবং ২০০৩ সালে খুলনায় আততায়ীর হাতে নিহত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ মঞ্জুরুল ইমাম ও আবৃত্তিকার অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের হাতে খুলনা বিভাগের সাংবাদিকদের পক্ষে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।