শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তিন দিনেও ত্রাণ পৌছেনি!

তিন দিনেও ত্রাণ পৌছেনি আমতলী উপজেলার পশুরবুনিয়া গ্রামে বন্যা কবলিত মানুষের দ্বারে। ওই এলাকার তিন শতাধিক পরিবার অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। দ্রুত ত্রাণের দাবী জানিয়েছেন তারা।

জানাগেছে, ঘুণিঝড় রেমাল উপকুলীয় অঞ্চলে গত শনিবার আঘাত হানে। রেমালের প্রভাবে আমতলী উপজেলার পায়না নদী সংলগ্ন পশুরবুনিয়ার এক কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। এতে ওই এলাকার ঘর-বাড়ী লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মানুষ সাইক্লোণ সেল্টার ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ওই এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের কাছে গত তিন দিনেও ত্রাণ পৌছেনি। তারা খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দাবী জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, বন্যায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের ঘর-বাড়ী ভেঙ্গে একাকার হয়ে গেছে। তারা ভাঙ্গা ঘরে কোন মতে অবস্থাণ করছেন। রান্না করা মত কোন উপায়ান্ত নেই।

ঘোপখালী গ্রামের নসু হাওলাদার ও আনেস হাওলাদার বলেন, তিন দিন হয়েছে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। খেয়ে না খেয়ে কোন মতে তিন দিন পার করেছি। এখন অস্থায়ী চুলা তৈরি করে খাবারের ব্যবস্থা করতেছি।

বেলাল চৌকিদার ও নাসরিন বলেন, বন্যা ঘর-বাড়ী লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। তিন দিন মুড়ি খেয়ে বেঁচে আছি। এখন দোকানে মুড়িও নেই।

জাফর তালুকদার বলেন, দিনে ঘর পাহারা দেই আর রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে থাকি। ইউপি সদস্য বশির হাওলাদার এক বেলা শুকনা খাবার দিয়েছিল তারপর আর কিছুই পাইনি।

সিপিপির টিম লিডার নিজাম জোমাদ্দার বলেন, বালিয়াতলী আশ্রয় কেন্দ্রে গত তিন দিন ধরে ৩৫ জন বন্যা কবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে কিন্তু তাদের কেউ খাবার দেয়নি। তারা খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে।

ইউপি চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, যারা আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে তাদের খাবার দিয়েছি কিন্তু যারা আসেনি তাদের খাবার দেব কিভাবে?

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, পশুরবুনিয়া ও ঘোপখালী ভাঙ্গণ কবলিত এলাকার দ্রুত খাবার পৌছে দেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ