আন্তর্জাতিক মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি সহ টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটের ঢল নেমেছে । হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, কুয়াকাটার প্রায় হোটেলই পর্যটকের বুকিং রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকের সমাগম বেড়েছে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টে থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী দর্শনীয় স্থানগুলোতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকরা হই হুল্লোড় করে মাতিয়ে রেখেছেন পুরো সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের বুকে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছে কেউ বা আবার দলবেঁধে সাঁতার কাটছে। পর্যটকদের সেবা দিতে ব্যস্ততা বেড়েছে কুয়াকাটার সকল রেস্তোরাঁসহ পর্যটননির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আশরাফুল ইসলাম নূর বলেন, “কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নিরিবিলি পরিবেশ সত্যিই মনোমুগ্ধকর। এখানকার সৈকতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে এসে ভালো লাগছে ।
সৈকতের চা বিক্রেতা মো. নজির মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে চোখে পড়ার মতো পর্যটক কুয়াকাটায় এসেছে। বেঁচা বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে।
ক্যামেরাম্যান আলমাছ বলেন, তিন দিন ছুটি থাকায় মোটামুটি আজ ভালোই পর্যটক আছে। আমরা আমাদের সংকট কাটাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
আচার বিক্রেতা মো. সগির বলেন, পর্যটকরা এখন বেশি ক্রয় করেনা। শুধুই ঘুরে ফিরে চলে যায়। তবে আগের চাইতে বিক্রি বাড়ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সকল পর্যটকের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে। সার্বক্ষণিক মাইকিং করে পর্যটকদের সকল বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসিন সাদেক বলেন, ঈদের পর আজকেই প্রচুর পর্যটক এসেছে। তিন দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে এতো পর্যটকের আগমন। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক পুলিশ টিম কাজ করছে।
 
								 
															 
											




 
								


