শুক্রবার, ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জাকসু: ছাত্রদলসহ ৫ প্যানেলের ভোট বর্জন

অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেলের ভোট বর্জন এবং পুনর্নির্বাচনের দাবির মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। চলছে ভোটগণনা। আটটি প্যানেলের মধ্যে পাঁচটি প্যানেল জাকসু নির্বাচন বর্জন করলেও তিনটি বর্জন করেনি। এগুলো হচ্ছে—বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট ও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন।

নির্বাচনে ভোটার ১১ হাজার ৮০৫ জন। ২১টি হলে ভোট পড়েছে আট হাজার ১৬টি। গড় ভোটের হার ৬৭.৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোটের হার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৮১.৪৩ শতাংশ, সর্বনিম্ন ভোটের হার নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ৪৮.৯৩ শতাংশ।

গতকাল সকাল ৯টায় শুরু হয়ে টানা ভোটগ্রহণ বিকেল ৫টায় শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২১টি কেন্দ্রের ২২৪টি বুথে ভোট নেওয়া হয়। জাকসুর ২৫টি পদের জন্য ১৭৭ জন এবং ২১টি হল সংসদের ৩১৫টি পদের জন্য ৪৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন ভোটারকে মোট ৪০টি ভোট দিতে হয়েছে।

ভোট চলাকালে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থীরা নির্বাচন ঘিরে অস্বচ্ছতা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছেন। একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও করেছেন। এমনকি প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেলের প্রার্থীরা।

বিকেল সাড়ে ৩টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান জানান, নির্বাচনের পরিবেশ যথেষ্ট সুষ্ঠু রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পরিবেশটা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আছে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বাকি সব জায়গায় স্বাভাবিকভাবেই ভোট চলছে। আশা করি, শেষ পর্যন্ত এভাবেই চলবে।’ উপাচার্য বলেন, ভোটকেন্দ্রে যথেষ্ট পরিমাণ বুথ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা নির্বাচনী ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে তাদের ভোট নেওয়া হবে।
গতকাল দিবাগত রাত ২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট গণনার কাজ চলছিল। এ সময় পর্যন্ত চার হলের ভোটগণনা শেষ হয়। হলগুলো হচ্ছে—মীর মশাররফ হোসেন হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, জাহানারা ইমাম হল এবং আ ফ ম কামাল উদ্দীন হল। ফল প্রকাশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোটগণনা হচ্ছে। ফল পেতে শুক্রবার সকাল বা দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’

ভোট অন্য কেউ দেওয়ার অভিযোগ : ভোট দিতে এসে এক ভোটার দেখেন তাঁর ভোট হয়ে গেছে—এমন অভিযোগ উঠেছে। শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ভোটার অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘আমি ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে এসে দেখি আমার ভোট আগেই অন্য কেউ দিয়ে গেছে। জীবনের প্রথম ভোট এভাবে নষ্ট হবে, কোনো দিন ভাবিনি।’

অভিযোগের বিষয়ে হলের পোলিং অফিসার মো. জাকির হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রবিউলের ভোট অন্য কেউ ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে দিয়েছে। পরে রবিউল যখন তার আসল আইডি কার্ড নিয়ে ভোট দিতে আসে, তখন সেটি যাচাই করে নিশ্চিত হই। আমরা বিষয়টি এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।’

১৫ নম্বর হলে এক ঘণ্টা ভোট বন্ধ : জাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে (সাবেক বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এক ঘণ্টা ধরে ভোট নেওয়া বন্ধ ছিল। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে ভোট কারচুপির অভিযোগ পেয়ে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান সহযোগীদের নিয়ে ছাত্রী হলে ঢুকে পড়েন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর দুপুর সোয়া ১টার পর হলটিতে ভোট নেওয়া শুরু হয়।

হলের অন্য প্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়মবহির্ভূতভাবে ছাত্রদলের ভিপি পদপ্রার্থী এখানে প্রবেশ করেন। অথচ এখানে প্রবেশের এখতিয়ার তাঁর নেই।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে রাশিদুল আলম বলেন, কেন্দ্রে একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ছাত্রদলের ভিপি পদপ্রার্থীর কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি।

ব্যালটে ভুল থাকার অভিযোগ : নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ব্যালট পেপারে ভুল থাকার অভিযোগ উঠেছে। ভোটাররা বলছেন, কার্যকরী সদস্য পদে তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যালটে দেওয়া নির্দেশনায় একজনের নামের পাশে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদমান বলেন, ‘ভোট দেওয়ার সময় আমাদেরও বিষয়টি নজরে এসেছে।’

এ বিষয়ে হলের পোলিং অফিসার উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়েছে, তাঁরা তিন প্রার্থীকেই ভোট দিচ্ছেন।’

ছাত্রদলের ভোট বর্জন : নির্বাচনে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা। বিকেল পৌনে ৪টায় মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ছাত্রদল মনোনীত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী।এ সময় তাঁর সঙ্গে ছাত্রদল মনোনীত অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ব্যাপক অনিয়ম, ভোট কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না।

এ সময় বৈশাখী বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের আশঙ্কা ছিল, এটি সাজানো নির্বাচন হবে। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কিন্তু প্রশাসন আমাদের দাবি উপেক্ষা করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন হলে ভোটগ্রহণে অনিয়ম, জাল ভোট, নকল ব্যালট ব্যবহার, পোলিং এজেন্টদের কাজে বাধা দেওয়া এবং শিবির সমর্থিত প্রার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

এ সময় বৈশাখী বলেন, ‘তাজউদ্দীন হলে আমাদের ঢুকতে দেয়নি। ভোটার লিস্টে ভোটারদের ছবি নেই। ২১ নম্বর হলে মব সৃষ্টি করা হয়। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলা হয়।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আমরা চাইনি। ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালটেই ভোট হচ্ছে।’

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘১০ থেকে ২০ শতাংশ ব্যালট শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কি না। মেয়েদের হলে একই মেয়ে বারবার ভোট দিতে গেছে। শিবিরপন্থী সাংবাদিকরা অসদাচরণ করেছেন ছাত্রদলের প্রার্থীদের সঙ্গে। শিবির সমর্থিত প্রার্থী মেঘলা সাংবাদিক পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে আটকায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটি কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন। তাই নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি। নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।’

নতুন করে তফসিল দিয়ে জাকসু পুনর্নির্বাচনের দাবিতে মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর শাখা ছাত্রদল। গতকাল রাত ৯টার দিকে নতুন কলা ভবনসংলগ্ন কবির সরণি থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. সাজ্জাদউল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদল জাবি শাখার আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বাবর বলেন, ‘ছাত্রদল সর্বপ্রথম জাকসু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আশ্বস্ত করেছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু ভোট নিয়ে অনিয়ম ও কারসাজি হয়েছে। মেয়েদের জাহানারা ইমাম হল, বঙ্গমাতা হলসহ অনেক হলে ব্যালট পেপার নিয়ে গিয়ে জাল ও ভুয়া ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের রিটার্নিং অফিসারের প্রত্যক্ষ মদদে ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে।’

এদিকে অনিয়ম, কারসাজিসহ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে গাফিলতিসহ নানা অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেল শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম।

ভোট বর্জন করে ৩ শিক্ষকের কেন্দ্র ত্যাগ : জাকসু নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন তিন শিক্ষক। তাঁরা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্য। বিকেল ৪টার আগেই তাঁরা বিভিন্ন কেন্দ্র ত্যাগ করেন। পরে তাঁরা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নাহরীন ইসলাম খান বলেন, ‘প্রশাসন শুরু থেকেই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছে। নানা অনিয়ম, কারসাজি করছে। এ রকম একটি নির্বাচনের দায়ভার আমাদের নেওয়া উচিত নয়। প্রতিবাদের জায়গা থেকে আমরা দায়িত্বশীল শিক্ষকরা এই নির্বাচন বর্জন করলাম।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও অধ্যাপক শামীমা সুলতানা।

নানা অভিযোগে আরো চার প্যানেলের ভোট বর্জন : জাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা। প্যানেলগুলো হলো সম্প্রীতির ঐক্য, সংশপ্তক পর্ষদ, অঙ্গীকার পরিষদ ও ছাত্র ফ্রন্ট একাংশের প্যানেল। এই দাবিতে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও একাত্মতা জানিয়েছেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান বলেন, ‘আমরা অনিয়মের নির্বাচন বয়কট করছি। দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্বাচন দাবি করছি।’ তিনি বলেন, পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন করে নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করতে হবে।

এক হলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোট : সময় শেষ হওয়ার ২ ঘণ্টা পরও এক হলে চলেছে জাকসুর ভোটগ্রহণ। সন্ধ্যা ৭টায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভোট দিতে দেখা গেছে।

কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেখানে আরো অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে বেশি সময় নিচ্ছেন, তাই নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়নি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ