স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচন যথাসময়েই হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ,অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে করতে সরকারের পক্ষ থেকে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। একটি অপশক্তি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করতে চাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সব কছিুই করা হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনসহ সকল কার্যক্রম চালানো হবে। সরকার কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করবে না।
আজ বুধবার দুপুরে নাটোর সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসরাম শিমুল, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি নাটোর পুলিশ সুপার অফিসের অফিসের বঙ্গবন্ধু গ্যালারি ও মুজিব কর্নারের উদ্বোধন এবং কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে নাটোর পাসপোর্ট ভবনের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পরিবারকে সপরিবারে হত্যার পরে তিনি দেশে ফিরে তার ধানমন্ডির বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
তিনি ডুকরে কেঁদে উঠেছেন। সেদিনের কথা নিশ্চিয়ই আপনাদের মনে আছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে নেই। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর প্যারালালভাবে হাওয়া ভবন গঠন করা হয়েছিল। সেখান থেকে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের লালন করা হয়েছে।
নাটোরসহ সারা দেশে মানুষ হত্যার মাধ্যমে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করেছিল। এখন তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। এজন্য লন্ডনে বসে তারেক রহমান যা বলছেন তাই শুনে কিছু মানুষ লাফালাফি করছেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসবেন কিভাবে। তার জন্যে নির্বাচনে আসতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতকে লক্ষ্য করে বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনের পূর্বে সারা দেশে অনেক নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তারা পুলিশকে হত্যা করেছে। বাসে আগুন দিয়ে নিরীহ যাত্রীদের পুড়িয়ে মেরেছে। বিএনপি বলেছিল ২৮ তারিখের পর সরকার থাকবে না। কিন্তু আমরা রয়েছি। সেদিন তারা প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলাসহ মেয়েদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। রাস্তার ওপর নারীদের কাপড় ছিঁড়ে নিয়ে তাদের পেটানো হলো। আমার স্তম্ভিত হয়ে গেলোম। পুলিশের ওপর হামলা করা হলো। সাংবাদিকদের পিটিয়ে আহত করা হলো। হাসপাতালে হামলা করা হলো।
বিএনপি-জামায়াতকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের যেমন হরতাল-অবরোধ করার অধিকার রয়েছে তেমনি জনগণের মানা না মানার অধিকার রয়েছে। আপনারা বাসে আগুন দিয়ে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করার পাঁয়তারা করছেন। আপনাদের যদি জনগণের ওপর বিশ্বাস থাকে তবে নির্বাচনে আসুন। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-গানপাউডার দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনগণের ওপর বিশ্বাস রয়েছে। সেই জনগণের রায় নিয়ে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। জনগণ না চাইলে ক্ষমতায় থাকব না। জনগণ অধির অপেক্ষায় রয়েছে নির্বাচন এলে তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনবে।
নাটোর সদর উপজেরা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, শিবলি সাদিক, শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।
