হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায় মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
মায়ের মৃত্যুতে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেলেও জানাজার সময় তার হাতকড়া খোলা হয়নি। এমনকি হাতকড়া নিয়েই মায়ের মরদেহ কাঁধে কবরস্থানে যান জাহাঙ্গীর।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার জাহাঙ্গীর প্যারোলে চার ঘণ্টার জন্য মুক্তি পান।
এদিন সকাল ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরের মা আলেয়া খাতুন (৭০) নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদরের কেদারগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, গত ১২ নভেম্বর থেকে জাহাঙ্গীর জেলহাজতে। ৫ আগস্ট সংঘর্ষের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন জাহাঙ্গীর।
‘আজ পুলিশ লাইনের একটি টিম তাকে প্যারোলে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে প্রকৃত অর্থে কী হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছি,’ বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীরের মামা আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমার বোন আগেও স্ট্রোক করেছিলেন। আজকে সকাল ৯টার দিকে সম্ভবত স্ট্রোক করেই তিনি মারা গেছেন।’
আলাউদ্দিন আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীর জানাজায় অংশ নিয়ে মায়ের জন্য মোনাজাত করতে পেরেছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট।’
যোগাযোগ করা হলে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, ‘কীভাবে হাতকড়া পরানো ছিল সেই বিষয়টি আমি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত না। তবে নিয়ম অনুযায়ী তো একেবারে ছাড়া থাকবে না।’
এদিন জাহাঙ্গীরের এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হাতকড়া না খোলায় অনেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করেছেন।