প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘দেশের আদালতগুলোতে মামলার জট কমাতে চলতি বছর নতুন ১০০ বিচারক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হলো বিচার বিভাগকে গতিশীল করা, বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর জেলা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য আদালত চত্বরে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশে নতুন মামলার চেয়ে মামলা নিষ্পত্তির হার বেশি। দ্রুত মামলার জট কমাতে কাজ করা হচ্ছে। একইভাবে সারা দেশে গত বছর অধীনস্থ আদালতগুলোতে আট লাখেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আর কেস ফাইলিংয়ের সংখ্যা ছিল সাত লাখের কিছুটা বেশি। অর্থাৎ, মামলা দায়েরের তুলনায় নিষ্পত্তির সংখ্যা বেশি ছিল।’
এ সময় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব মো. এহসানুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মশিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতি জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট প্রাঙ্গণে দুটি বৃক্ষরোপণ করেন। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির আমন্ত্রণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে চারজন আইনজীবীর আইন পেশায় ৫০ বছর পূর্তিতে তাদের সম্মাননা দেয়া হয়।
এ সময় প্রধান বিচারপতি জেলা জজ আদালতে ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ায় বিচারক ও আইনজীবীদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে মামলাজট কমানোর জন্য বার এবং বেঞ্চের সবাইকে আরও সচেতন ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেন।