বৃহস্পতিবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কল্পনা আক্তারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ

ফাইল ফটো।

বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তারের ‘জীবননাশের হুমকি’ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন যে বক্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তার ব্যাখ্যা (ক্ল্যারিফিকেশন) চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কল্পনা আক্তার আমাদের কারণে বা অন্য কারও দ্বারা হুমকি পেয়েছিলেন মর্মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে উদ্ধৃত করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এই ক্ল্যারিফিকেশনটা আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চাইবো।

বিশ্বব্যাপী শ্রম অধিকার রক্ষায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সই করা স্মারকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় গত ১৬ই নভেম্বর কল্পনা আক্তারের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন করা নতুন শ্রমনীতিতে শ্রম অধিকার হরণ করে এমন কার্যক্রমের জন্য দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নেয়ার বিধান রয়েছে।

মার্কিন শ্রমনীতি ঘোষণায় বাংলাদেশের শ্রম অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তারের উদাহরণ টেনে ব্লিনকেন বলেন, বাংলাদেশি গার্মেন্টসকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট কল্পনা আক্তারের মতো ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে চাই আমরা; কল্পনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তার পক্ষে ভূমিকা রাখার কারণে এখনো তিনি বেঁচে আছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার যদি ঠিক মনে থাকে, কল্পনা আক্তার বাংলাদেশে একবারই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২০১০ সালে। তিনি একা নন, তার সঙ্গে আরও একাধিক শ্রমিক নেতা চাকরিরত অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাদের মামলাটি তুলে নেয়া হয়। রানা প্লাজা ধসের পর আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কল্পনা আক্তারের গ্রেপ্তার হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শাহরিয়ার আলম বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর পশ্চিমা দেশের কিছু ক্রেতা যখন সেই ফ্যাক্টরিগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করলো, তখন কল্পনা আক্তার এবং আরও দুয়েকজন মিলে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

বাংলাদেশে তার জীবনের হুমকির কথা কল্পনা আক্তার কখনই সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাননি দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশ পুলিশের রেকর্ড চেক করেছি। প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা তাকে গিয়ে যদি জিজ্ঞেসা করতে পারেন। কথাটি আদৌ তিনি বলেছেন কিনা? বলে থাকলে কিসের ভিত্তিতে বলেছেন? এটা খোঁজার দায়িত্ব আমার মনে হয় সাংবাদিক ভাইবোনদের। কিন্তু তিনি যে হুমকি বোধ করেছেন, এটা অতীতে তিনি কখনই বাংলাদেশের কাউকে জানাননি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আমরা ‘হুমকি’র সত্যতা খোঁজার চেষ্টা করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ