পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহান বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারে সবার আগে পুষ্পস্তবক অর্পণ না করতে পারায় প্রশাসন বিরোধী মিছিল করেছে বিএনপি। আজ ১৬ ডিসেম্বর ৮:১০ মিনিটের দিকে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান চুন্নুর নেতৃত্বে বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম’র প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ না করে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলাপাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ৮ ঘটিকায় পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় পূর্ব নির্ধারিত ছিল। অপরদিকে উপজেলা বিএনপি কর্তৃক ৭:৩০ ঘটিকায় পুষ্পস্তবক অর্পণ পূর্ব নির্ধারিত ছিল। উপজেলা বিএনপি তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৭:২০ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে ৮ ঘটিকায় উপজেলা প্রশাসন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে। ধারাবাহিকভাবে উপজেলা প্রশাসন, কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ, কলাপাড়া পৌরসভা, কলাপাড়া থানা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরবর্তী সিরিয়ালে উপজেলা বিএনপি’র পুষ্প স্তবক অর্পণ করার কথা থাকলেও বিএনপির নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ফাহিমের নেতৃত্বে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান (একশন একশন ডাইরেক্ট একশন, আওয়ামী লীগের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান, প্রশাসনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন) দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর ত্যাগ করে।
সূত্রটি আরও জানায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ৮ ঘটিকায় পুষ্পস্তবক অর্পণ পূর্ব নির্ধারিত থাকলেও উপজেলা বিএনপি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় না করে উপজেলা প্রশাসনের পুষ্প স্তবকের পূর্বে ৭:৩০ ঘটিকায় পুষ্প স্তবক অর্পণের প্রেস রিলিজ করে, সেই মোতাবেক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এদিকে বিএনপি’র প্রশাসন বিরোধী মিছিলের ভিডিও ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে শহরে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে মিছিলের স্লোগানে নেতৃত্ব দানকারী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফাহিমের মুঠোফোনে একাধিকবার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম এর মুঠোফোনে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা সহ তার হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা না জানালেও একটি ফুলের চাক শহীদ মিনারের বেদীতে পরে লক্ষ্য করা গেছে বলে জানায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।