পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পারুল বেগম (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম সহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এসময় ওই নারীর কন্যা হাজেরা (১৭) কেও মারধর করা হয়। মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে মহিপুর থানার ধূলাসার ইউনিয়নের নয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, তাদের দেড় একর জমি নিয়ে তার স্বামী খলিলুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম বাবুলের দীর্ঘ দিনের বিরোধ ছিলো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ ও হয়েছে। সালিশদাররা বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষকেই ভোগ দখল করতে নিষেধ করেন। গত মঙ্গলবার বাবুলের ভাই দুলাল সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা ওই বিরোধীয় জমির পুকুরে মাছ ধরতে যায়। এসময় বাড়িতে তার স্বামী খলিল না থাকায় তিনি মাছ শিকারে বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুলাল ও বাবুল দেশীয় অস্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এবং তার পরিধেয় কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি করেন। মাকে বাঁচাতে মেয়ে হাজেরা এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
পারুল বেগমের স্বামী খলিলুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবুল ৫ আগষ্টের পর আমাকে ঢাকার দুই দুইটা হত্যা মামলার সাথে জড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বাবুল বলেন, ওইদিন আমরা পুরুষরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। ঘটনা ঘটিয়েছে মহিলারা মহিলারা। এ ঘটনা নিয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মো. মাহমুদ হাসান বলেন, মারধরের পর আহত অবস্থায় ওই নারী থানায় এসেছিলো। আমরা তাকে চিকিৎসা নিতে বলেছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।







