বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

একদফার আন্দোলনে সব রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল

ফাইল ফটো

একদফার আন্দোলনে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘একট্টা’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নিপীড়ন-নির্যাতন করে লাভ হবে না। জনগন এখন একত্রিত। সব রাজনৈতিক দলগুলো আজকে এক হয়ে গেছে।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পেশাজীবীদের এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন,আজকে পত্রিকায় দেখবেন, কমিউনিস্ট পার্টি(সিপিবি) একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছে যে, এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। চরমোনাইয়ের পীর সাহেব দিয়েছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বলছে পরিস্কার করে যে, আমরা এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকার যারা জনগনের ভোটে বিশ্বাস করে না, যারা জনগনের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না, যারা জনগনের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালায় তাদের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, এবারকার নির্বাচনে জনগনকে ভোট দিতে হবে। তার জন্য যেটা দরকার এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সেটা হবে না।

তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরা যে যুদ্ধে নেমেছে, যে সংগ্রামে নেমেছি এটা বিএনপির যুদ্ধ নয়, বিএনপির সংগ্রাম নয়, তারেক রহমানেরও নয়, মির্জা আলমগীরেও নয়। এই যুদ্ধ এদেশের ১৮ কোটি মানুষের। তার স্বাধীনতা রক্ষা করবার, তার ভোটের অধিকার রক্ষা করবার, তার বেঁছে থাকার অধিকার রক্ষা করবার।”

পেশাজীবীদের গণতন্ত্র ফেরানোর এই আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে ধবংস করে দিয়ে পর পর দুইটো নির্বাচন একেবারে হাস্যকর অবস্থা করে দিয়ে তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। আবারো পায়তারা শুরু করেছে। আবারও এভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে সেই স্বপ্ন দেখছে। প্রত্যেকদিন খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন যে, ডিসির পরিবর্তন, এসপির পরিবর্তন, পোস্টিং, প্রশাসনের হাজার হাজার লোককে পদোন্নতি দেখছেন না। এটাই উদ্দেশ্যে তারা ভাবছে আগের মতোই প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে আবার বৈতরণী পার হবে।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দ রহমানের বিরুদ্ধে ‘ফরমায়েসী’ রায়ের প্রতিবাদের এই সমাবেশ হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করে ফেলেছে। আমার তো মনে হয় মাঝে মাঝে যে, সবচেয়ে বেশি নিপীড়কের জায়গাটা বিচার বিভাগ। এখন প্রতিদিন গায়েবি মামলা, জামিন দেয়া হয় না। কোর্টে নিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় কারাগারে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমি কিছুক্ষন আগে আমাদের এক ছাত্র নেতাকে দেখলাম তার সারা শরীরে ৪৮টা গুলির ক্ষতচিহ্ন। কালকে গিয়েছিলাম এক যুব নেতাকে দেখতে… তার ডান পা হাতুড়ে দিয়ে পিটিয়ে একেবারে পঙ্গু করে দিয়েছে। এর নাম গণতন্ত্র।”

‘‘ এরা আবার কালকেও বলছেন, আমরা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দেবো। শেয়ালের কাছে মুরগী দেয়ার সেই গল্প আছে না তার মতো…।”

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন কালাকানুনের মাধ্যমে সরকার গণমাধ্যমে স্বাধীনতা হরণ ও সাংবাদিকদের নির্যাতন করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে শিক্ষক অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অ্ধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যপক শামসুল আলম সেলিম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, জাকির হোসেন, চিকিতসক অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. রফিকুল ইসলাম,প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, শহীদুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মো. হানিফ, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনে জাহানারা বেগম, এমট্যাবের হাফিজুর রহমান প্র্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ