ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ওপর ইসরাইলি সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ মনে করে, এ হামলা ইরানের সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন, জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের উসকানি আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতিসহ ইতিমধ্যে ভঙ্গুর অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার হুমকি দেয়।
বাংলাদেশ আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক অংশীজনদের সংযম অনুশীলন এবং উত্তেজনা প্রশমনে তাদের প্রভাব ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ জোর দেয় যে আন্তর্জাতিক নিয়ম, সংলাপ এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল ও এর বাইরে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সর্বোত্তম।
কূটনীতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা স্থায়ী শান্তির একমাত্র কার্যকর পথ উল্লেখ করে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের সমর্থনে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানায়।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ইসরাইলের হামলায় কেঁপে ওঠে ইরানের তেহরান, খুজেস্তান, কারাজ শহর। ইরানের বেশ কয়েকটি জায়গায় একসঙ্গে বোমা হামলা চালায় নেতানিয়াহু বাহিনী। ইসরাইলের এ হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত বলে দাবি করেছে ইরান।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দাবিতে বলা হয়, ইরানের সীমান্ত থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ইরাকি আকাশসীমা থেকে ইরানের বেশ কয়েকটি সামরিক ও রাডার সাইট আক্রমণ করেছে তেল আবিবের যুদ্ধবিমান।
একই অভিযোগ করেছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুল রহিম মৌসাভি। তিনি বলেন, ইরাকের আকাশপথ ব্যবহার করে ইরানে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরাইল যুদ্ধবিমান। ইসরাইলের এমন আচরণকে ‘অবৈধ’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে মৌসাভি বলেন, ইসরাইলের বিমান বাহিনী ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত আকাশপথ ব্যবহার করে ইরানের সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডের এক-পঞ্চমাংশের সমান।
এদিকে প্রকাশ্য এবং গোপন সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হাৎজগ। ওয়াশিংটনকে তেল আবিবের ‘সত্যিকারের বন্ধু’ হিসেবে প্রশংসা করেন আইজ্যাক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ হামলা দিয়েই ইসরাইল-ইরানের বৈরিতার শেষ হবে বলে প্রত্যাশা করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও একই মন্তব্য করেন।