পাকিস্তানে এক অনুষ্ঠানে করিনা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী সইফ আলি খানের বেশ কিছু আত্মীয়পরিজন পাকিস্তানে রয়েছেন। যাঁরা প্রায়ই ফোন করে তাঁদের পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানান।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বন্ধ। এই মুহূর্তে পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভারতে আসা-যাওয়া বন্ধ। পরিস্থিতি এতটাই সংবেদনশীল যে, সমাজমাধ্যমে পাকিস্তানি ক্রিকেটতারকা থেকে নায়ক-নায়িকাদের কার্যকলাপ দেখা যায় না ভারতে। কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। দু’দেশের মধ্যে সৌজন্যের সম্পর্ক ছিল। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের তারকারা ভারতে এসে কাজ করতেন। ভারতের তারকাদের সে দেশে জনপ্রিয়তার কথা কারও অজানা নয়। শাহরুখ খান থেকে মাধুরী দীক্ষিত কিংবা করিনা কপূরদের জনপ্রিয়তা ও হিন্দি ছবির প্রতি সে দেশের মানুষের ভালবাসার কথা অজানা নয়। এক সাক্ষাৎকারে করিনা মন্তব্য করে বসেন, তাঁকে পাকিস্তানি হিসেবে দিব্যি চালিয়ে দেওয়া যায়!
করিনা তাঁর কেরিয়ারের শুরুতেই ‘রিফিউজ়ি’ ছবিতে পাকিস্তানি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার পর ‘কুরবান’ ছবিতেও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তাঁকে দেখা যায়। এ ছাড়াও ২০১২ সালে পাকিস্তানে এক অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী নিজেই জানান, স্বামী সইফ আলি খানের বেশ কিছু আত্মীয়-পরিজন এখনও পাকিস্তানে রয়েছেন। তাঁরা প্রায়ই ফোন করে পাকিস্তানে আসার নিমন্ত্রণ জানান। করিনাও জানান, সময় সুযোগ পেলে নিশ্চয় যাবেন।
পাশাপাশি করিনা বলেন, ‘‘আমি কেরিয়ারের শুরুতেই পাকিস্তানি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই হয়তো আমাকে পাকিস্তানি বলে দিব্যি চালিয়ে দেওয়া যায়।’’ করিনা বছর দশেক আগেও পাকিস্তানে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সেখানকার শিশুকন্যাদের পড়াশোনার গুরুত্ব কতটা, তা বোঝাতেই সেখানে যেতে চেয়েছিলেন।
মাসকয়েক আগে দুবাই গিয়েছিলেন করিনা। সেখানে গিয়েই পাকিস্তানি পোশাকশিল্পী ফরাজ় মানানের সঙ্গে দেখা হয় অভিনেত্রীর। অতীতেও একাধিক বার ফরাজ়ের পোশাক সংস্থার ‘মুখ’ হিসেবে কাজ করেছেন করিনা। দুবাইয়েও তাঁরই বিপণি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন করিনা। সেই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছিলেন ফরাজ়। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানি পোশাকশিল্পীর সঙ্গে করিনা কপূর খানের সেই সব ছবি ঘিরে বিস্তর বিতর্ক হয়। এখন অবশ্য সবকিছু স্বাভাবিক।