বুধবার, ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান উপদেষ্টা

কানাডার সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান এবং দুই সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ ও সামীর জুবেরি আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা আরও জোরদার এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চলমান সংস্কার কার্ষক্রম এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা এমন সময় এসেছেন, যখন যুবকদের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কানাডার অটল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘৮ বছর অতিবাহিত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনই একমাত্র কার্যকর সমাধান, এর কোনো বিকল্প নেই। এখানে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বসবাস করছে। হাজার হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করেছে এবং তারা নিজের নাগরিকত্ব বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছাড়াই বেড়ে উঠছে— এবং তারা উদ্বিগ্ন। এখন আমরা অর্থনৈতিক কাটা-ছাঁটের মুখোমুখি, যা এই সংকটকে আরও কঠিন করে তুলেছে।’

সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান জানান, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি বক্তব্য রাখবেন এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠিকে সহায়তা প্রদানের জন্য কানাডার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলছি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। বিশ্বের উচিত তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি মনোযোগ দেওয়া। তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে এ বিষয়ে অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।

সংসদ সদস্য সামীর জুবেরি, যিনি বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রীর সংসদীয় সচিব, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বৈচিত্র্যকরণের প্রতি কানাডার আগ্রকের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণের জন্য কাজ করছি। বাংলাদেশ ও কানাডা উভয় দেশের মানুষের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এশিয়া সফর করেছেন বাণিজ্য অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ এবং বৈচিত্র্যকরণের লক্ষ্য নিয়ে।’

প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালে (এইচসিআই) গ্লোবাল প্রধান নির্বাহী মাহমুদা খান, হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএর (এইচসিইউএসএ) প্রধান নির্বাহী মাসুম মাহবুব, জেসটাল্ট কমিউনিকেশনসের প্রধান নির্বাহী আহমাদ আত্তিয়া এবং ইসলামিক রিলিফ কানাডার প্রধান নির্বাহী উসামা খান।

সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ বস্ত্র, কৃষি ও অন্যান্য খাতে সম্ভাব্য বাণিজ্যের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রপ্তানি খাতে কানাডার বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ