বরগুনার আমতলী উপজেলায় গ্রাম গ্রামান্তরে তরমুজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। কৃষক পরিবার ঘরে বসে নেই। নারী ও শিশুদের নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। একটু যেন ফুরসুত নেই তাদের।
গত বছর শত শত একর জমির তরমুজ নষ্ট হওয়াতে অনেক কৃষক মোটা অংকের লোকসান দিয়েছেন। গত বছরের লোকসান পোসাতে এ বছর কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া, হলদিয়া, সদর ইউনিয়ন, চাওড়া, কুকুয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এ বছর চাষিরা পলিথিনে তরমুজের চারা করেছে। চাষিরা ইতিমধ্যে জমি চাষাবাদ করে তরমুজের চারা বপনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। গত বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠতে চাষিরা আগাম তরমুজ চাষে পলিথিন ব্যাগে চারা করে্েযছন। ওই চারা তারা রোপনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
শনিবার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা, চন্দ্রা, আঠারোগাছিয়া, পশ্চিম সোনাখালী, হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর- দক্ষিণ রাওঘা, কুকুয়ার কৃষ্ণ নগর ও গুলিশাখালী গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা মাঠে কাজ করছে। মাঠের পর মাঠ চাষাবাদ করে তরমুজ বীজ বপন করছেন। এ কাজ করতে ঘরের নারী ও শিশুরাও বসে নেই। তারাও পুরুষের পাশাপাশি কাজ করছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের শিবলী শরীফ বলেন, ২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। গাছের চারা বড় হয়েছে। প্রতিদিন ১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
সোনাখালী গ্রামের প্রভাষক নাসির আকন বলেন, এ বছর ৬ একর জমিতে তরমুজ চাষে পলিথিনে চারা তৈরি করেছি। ইতিমধ্যে সকল জমিতে ওই তরমুজ চারা রোপন শেষ হয়েছে।
গুলিশাখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, এ বছর ৫০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ইতিমধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। পলিথিনে চারা করে খেতে বপন করায় আগাম তরমুজ আসবে বলে আশা করি।তিনি আরো বলেন প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মৌলুভী শাহীন মিয়া, আলাউদ্দিন মৃধা, ইসাবুল মৃধা, হাসান হাওলাদার ও নুরে আলম মল্লিক বলেন, গত বছর বেশ লোকসান হয়েছে। ওই লোকসান কাটিয়ে উঠতে এ বছর বেশী জমিতে তরমুজ চাষ করেছি।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, এ বছর তরমুজের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।