আমতলী উপজেলার চিহিৃত কিশোর গ্যাং লিডার ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা বিহারী ও তার সহযোগীদের হামলায় চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা এইচএম মঞ্জুরুল ইসলাম রিফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। কিশোর গ্যাং লিডার তোহার শাস্তির দাবীতে রাতেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের সদর রোডের সার্বজনীন কেন্দ্রীয় মন্দিরের সামনে সোমবার রাত ১০ টার দিকে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি এইচএম মঞ্জুরুল ইসলাম রিফাত সোমবার রাত ১০ টার দিকে বরগুনা জেলা আওয়ামীল গের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুনাম দেবনাথের সঙ্গে পৌর শহরের সদর রোডের সার্বজনীন কেন্দ্রীয় মন্দিরে যান।
মন্দির থেকে বের হলেই কিশোর গ্যাং লিডার ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা বিহারী ও তার সহযোগী রাহাতসহ ১০-১২ জন রিফাতের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রিফাতের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। রিফাতকে রক্ষায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে তাদেরও ওপর কিশোর গ্যাংরা হামলা চালায়। তাদের হামলায় শহীদুল ইসলাম, মেহেদী ও রাহাত নামের আরো তিনজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত রিফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। অপর আহতদের ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত রিফাতের অভিযোগ ছাত্র রাজনীতি করতে হলে কিশোর গ্যাং লিডার ত্বোহা বিহারীকে মাসিক চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা না দিলে তাকে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন ত্বোহা। তার আরো অভিযোগ গত দের মাস আগে ত্বোহা তার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কিশোর গ্যাং লিডার তার ওপর অতর্কিত হামলা করেছে।
এ ঘটনার পরপরই কিশোর গ্যাং লিডার ত্বোহা ও তার সহযোগীরা পালিয়েছে। কিশোর গ্যাং লিডার ত্বোহার শাস্তি দাবীতে রাতেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহরের বিক্ষোভ করেছে। কিশোর গ্যাং লিডার ত্বোহা বিহারী আমতলী পৌর শহরের মিঠা বাজার এলাকার শামিম বিহারীর ছেলে। সে এলাকায় চিহিৃত কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিতি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, হাইজ্যাক, ছিনতাই, মাদক সেবন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে। তার নামে আমতলী থানায় সাতটি মামলা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, মন্দির থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে কিশোর গ্যাং লিডার ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা বিহারী ও তার সাথে থাকা ১০-১২ জনে ছাত্রলীগ নেতা রিফাতের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে রক্ষায় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এগিয়ে আসে। তাদেরকেও ত্বোহা ও তার সহযোগীরা মারধর করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তাওহিদুল ইসলাম বলেন, আহত রিফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।