ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ’৭১এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামীলীগ ভারতকে খুশী করার জন্য ১০টি চুক্তি করেছে। এরমধ্যে একটি ট্রানজিট, করিডোর। যাতে শুধু ভারতের স্বার্থই নিহিত ছিল। অথচ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের উচিৎ ছিল বন্ধুসুলভ মনোভাব দেখোনো। কিন্তু তারা সর্বদা তাদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে এবং আওয়ামীলীগ সেটি বাস্তবায়ন করেছে। স্বাধীনতার পর ৫৩ বছর বাংলাদেশে বিএনপি, আওয়ামীলীগ সহ অন্যদল দল দেশ পরিচালনা করেছে। কে কি করেছে, আমরা জানি। দেশের মানুষ জানে। ’ আজ (১০ ফেব্রুয়ারী) সোমবার শেষ বিকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কলাপাড়া উপজেলা শাখার আয়োজনে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র কলাপাড়া উপজেলা সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমানের সভাপিতত্বে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম আরও বলেন, ’স্বাধীনতার পর দেশে সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবিক মর্যাদা কোন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেনি। ৫ আগষ্টের পর ইসলামী আন্দোলন দেশ গঠনের দায়িত্ব নিয়েছে। দেশের মানুষ বিএনপি, আওয়ামীলগের সরকার দেখেছে। এখন তারা ইসলামী দলের নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা দেখতে চায়।’
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ’গন অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজপথে মিছিল, সমাবেশ করে। অভ্যুত্থানের পর দেশ পরিচালনায় সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বও পালন করে ইসলামী আন্দোলন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ’আপনাদের দখল, চাঁদাবাজির বিষয়ে কথা বলায় উপজেলা সভাপতিকে আইনী নোটিশ দিয়েছেন। অবিলম্বে সেটি প্রত্যাহার না করলে কঠোর জবাব দেয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ’৫ আগষ্টের আগে হাসিনার সকল আত্মীয় স্বজন দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালায়, এরপর মন্ত্রী, এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যানরা দেশ ছেড়ে পালায়। তাদের একজনকেও এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এমন কি কাজ করলেন, যে দেশ ছেড়ে পালাতে হলো।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা কাজী গোলাম সরোয়ার, হাওলাদার মো. সেলিম মিয়া, জেলা সাধারন সম্পাদক মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাষ্টার মো. আবদুল হাকিম প্রমূখ।