দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন দেয়ায় ভারতের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রতিবেশী দেশটির সরকারের প্রতি বিষোদগার করেন তিনি।
আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে ভারতের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, চীন ও রাশিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওই দুই দেশে তো গণতন্ত্র নেই। তারা কমিউনিস্ট শাসিত দেশ। তারা কীভাবে গণতন্ত্রের ছবক দেয়?
গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও ভারত কীভাবে বাংলাদেশের সরকারকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান রিজভী।
তিনি বলেন, এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, অথচ তারা সাপোর্ট করছে বিনা ভোটের একটা সরকারকে। তাদের কাছে গণতন্ত্র কোনো বিষয় না, বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এই দলের মাধ্যমে মোদি সরকার তার স্বার্থ হাসিল করতে পারছে। ফলে গণভিত্তি হারানো একটি রাজনৈতিক দলকে ভারত সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ভারতীয় সমর্থন বিস্ময়কর ও বেমানান। ভারত সবসময় বাংলাদেশকে ঠকিয়ে আসছে। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের (ভারতের) ন্যায্য পানির হিস্যা নিয়ে কথা বলে, সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলে, একচেটিয়া বাণিজ্য নিয়ে কথা বলে। যারা এসবের প্রতিবাদ করে তাদের প্রতি বৈরিভাব, আর যারা এসব বিষয় মেনে নেয় শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের প্রতি ভারত খুশি। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে ভারত চায়, তাদের ক্ষমতায় রেখে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়।’
‘ভারত সরকার বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিপক্ষ মনে করে। কিন্তু এ দেশের মানুষ ভারতকে বন্ধুই মনে করে। তাই আমি ভারত সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আপনি বন্ধু হতে পারবেন না,’ যোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
লোভে পড়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, দেশের মানুষ তাদের বেইমান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিভিন্ন দল থেকে ভাড়া করে লোকজন নিয়ে এসে নির্বাচনের যেই ট্রেনে উঠেছেন, সেই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে দেবে না মুক্তিকামী জনতা। এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
‘দেশের মানুষের কথা শুনেন, মেনে নিন। না হলে পতন অনিবার্য’ বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
’