রাষ্ট্রপতির নিয়োগ দেওয়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহকে যোগদান করতে দিচ্ছে না গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ নিয়োগ পাবার ২২দিন কেটে গেলও নতুন উপাচার্যকে যোগান করতে দেয়া হচ্ছে না। অধ্যাপক শহীদুল্লাহ যাতে উপাচার্য হিসেবে যোগ দিতে না পারেন সে লক্ষ্যে গোপনে তাকে চাপ দিয়ে একটি লিখিত অঙ্গীকার আদায় করে নিয়েছেন গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন। এভাবে তিনি রাষ্ট্রপতির আদেশ অবজ্ঞা করার দু:সাহস দেখাচ্ছেন । রাষ্ট্রপতির আদেশ অবজ্ঞা করে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য নিয়োগে অভিনব জালিয়াতি করা হয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর (রোববার) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে গ্রীন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ। নতুন উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ২২ দিন অতিবাহিত হলেও অধ্যাবধি দায়িত্ব নিতে পারছেন না শহিদুল্লাহ। ট্রাস্টি বোর্ড তাকে উপাচার্য হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে তাকে বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দের কাউকে উপাচার্য করতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, অধ্যাপক শহীদুল্লাহ যাতে উপাচার্য হিসেবে যোগ দিতে না পারেন সে লক্ষ্যে গোপনে তাকে চাপ দিয়ে একটি লিখিত অঙ্গীকার আদায় করেছেন গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উপাচার্যের দৌড়ে শহিদুল্লাহর ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন। তবে যাচাই বাছাই শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ৩ জনের একটা তালিকা পাঠানো হয়। তালিকায় প্রথম ২টি নাম ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ইলেকট্রিকেল এন্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: কামরুল আহসান। ৩ নম্বরে ছিলেন অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল্লাহ।
শহিদুল্লাহ কে যে প্রজ্ঞাপনে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সেখানে উল্লেখ করা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ৩১ (১) ধারা অনুযায়ী ড. মো শহীদুল্লাহকে গ্রীন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। তিনি যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর চাইলে যেকোনো সময় তার নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ ১৯৭৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক এবং ১৯৭৮ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন।
এছাড়াও তিনি রাবির ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (আইবিএস) পরিচালকও ছিলেন। সর্বশেষ গ্রীন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনার পাশাপাশি কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন ড. শহীদুল্লাহ।