শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবহেলায় রোগীর মৃত্যু, অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সের শাস্তির দাবি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় এক আইনজীবী সহকারীর মৃত্যুতে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সের অপসারণ সহ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া চৌকি আদালত আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও জেলা বারের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান সাঈদ, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট সুমন সহ আইনজীবী সহকারীগণ ও নিহতের স্বজনরা।

এ সময় বক্তারা প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. জে এইচ খান লেলিন ও নার্স আসমা বেগমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ অবিলম্বে তাদের অপসারণ দাবি করেন। অন্যথায় সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আইনজীবী বক্তারা।

পরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌহিদুর রহমান (সিআইপি) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিহত আইনজীবী সহকারী স্বপন সিকদারের চাচা অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুজ্জামান সিকদার। এ সময় আইনজীবী সহকারীবৃন্দ, বিজ্ঞ আইনজীবীগণ ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে নুরুজ্জামান সিকদার বলেন, ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ভিকটিম স্বপন সিকদার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় সকাল অনুমান দশটায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক লেলিনের কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে তিনি সরকারি দায়িত্ব অবহেলা করে অহেতুক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তার ব্যক্তিগত কলাপাড়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালে এলে তার শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায়। অবস্থা সঙ্কটাপণ্ন দেখে স্বপনকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেয়া হয়। দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসকের নির্দেশে অক্সিজেন মাস্ক খুলে স্বপনকে ভর্তি দেয়া হয়। হাসপাতালের বেডে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় স্বপন কর্তব্যরত নার্স আসমাকে মা সম্বোধন করে আকুতি মিনতি করার পরও তার ডিউটি শেষ বলে মাস্ক না পরিয়ে সে চলে যায়। পরে অপর নার্স এসে অক্সিজেন সিলিন্ডারের খালি বোতল নিয়ে আসে। ইতোমধ্যে স্বপন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘটনার পরপর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিকার চেয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যা পিবিআই তে তদন্তাধীন রয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান আরও বলেন, ডা. লেলিন দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় একই কর্মস্থলে থেকে জখমীর মেডিকেল সনদ বাণিজ্য সহ একাধিক ফৌজদারি অপরাধে তার বিরুদ্ধে আদালতের সমন আদেশ বলবৎ আছে। দুর্নীতি, অনিয়মের উপার্জিত অর্থে তিনি কর্মস্থল এলাকায় নিজ নামে কোটি কোটি টাকার বিপুল ভূ-সম্পত্তি সহ এঞ্জেল লেলিন গার্ডেন ভিউ ও এঞ্জেল মৎস্য খামার করে বিপুল বৃত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ