নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক
গত সপ্তাহ বাংলাদেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়া পার হইল। সন্ত্রাসের কাছে হার মানিব না বলা যত সহজ, দেশের মাটিতে বারংবার সন্ত্রাসের আঘাত সহ্য করিয়াও বিতর্কিত কর্মযজ্ঞ চালাইয়া সন্ত্রাস-সমর্থক বিপক্ষের উষ্মার লক্ষ্য হইতে স্বীকার করা ততখানি সহজ নহে। আওয়ামি লিগ সরকার ক্রমাগত প্রমাণ করিয়া আসিতেছে যে তাহারা কিছুতেই প্রতিশ্রুত কাজ হইতে সরিবে না, যে প্রত্যাঘাতই নামিয়া আসুক না কেন। গত সপ্তাহে জামাত-ই-ইসলামির জেনারেল সেক্রেটারি আলি আহসান মহম্মদ মুজাহিদ এবং বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরির ফাঁসি কার্যকর করিয়া প্রধামনমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও তাঁহার অপরাজেয় সাহসের পরিচয় দিলেন। পাশাপাশি, সাবধানতার ক্ষেত্রেও এক পা বাড়াইয়া খেলিলেন। সমস্ত রকম সোশ্যাল মিডিয়া সাময়িক ভাবে বন্ধ করিয়া আপৎকালীন সামাজিক নিয়ন্ত্রণ রাখিবার চেষ্টা হইল। প্রসঙ্গত, সেই নিয়ন্ত্রণ এখন আবার শিথিল হইয়াছে, বাংলাদেশ দ্রুত নিয়মিত প্রাত্যহিক ছন্দে ফিরিবার চেষ্টা করিতেছে। যে সন্ত্রাসের মূল কথা সমাজকে ভয় দেখাইয়া নিজের পথে চলিতে বাধ্য করা, তাহার সামনে মাথা না নোয়াইবার, ভয় না পাইবার মূলমন্ত্রের কোনও বিকল্প নাই। কেবল সরকারি পক্ষ নহে, বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষও এই সহজ কথাটি বুঝিলে মঙ্গল: বিস্ফোরণে, নিধনে, হুমকিতে যাহারা স্বাভাবিক নাগরিক জীবনে ব্যাঘাত ঘটাইতে চাহে, ভয় না পাইয়া স্বাভাবিক জীবন চালু রাখাই তাহাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করিবার একমাত্র উপায়।